হিজামা কি?

হিজামা (Hijama) বা কাপিং থেরাপি হলো একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট অংশে কাপ ব্যবহার করে রক্ত টেনে বের করা হয়। এটি মূলত শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ইসলামিক ঐতিহ্য অনুযায়ী, হিজামা সুন্নাহ ভিত্তিক একটি চিকিৎসা পদ্ধতি এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিজেও এটি ব্যবহার করেছেন বলে বলা হয়।

কেন কাপিং করবেন ?

মেডিসিন ছাড়াই ব্যথা নিরাময় হবে

ম্যাজিক কাপিং বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা কমাতে কাজ করে জাদুর মত।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়

কাপিং করার পরে শরীরে ব্লাড এর সার্কুলেশন সহজ হয়।

ঔষধের মত প্রতিদিন এটি কিনতে হবে না

ম্যাজিক কাপিং সেট একবার কিনলেই আপনি সহ পরিবারের সবাই বহুদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

এই কারণে আপনি খুব কম অসুস্থ হবেন।

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়

কাপিং করলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড রিলিজ হয়।

ভালো ঘুম হয়

কাপিং থেরাপি নিলে শরীরে রিলাক্সেশন আসে ফলে খুব আরামের ঘুম হয়।

হিজামার ব্যাপারে বর্ণিত কতিপয় হাদীছ শরীফ

হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে (হিজামা)।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৬

হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৮২
হযরত জাবির রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” ছহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর : ২২০৫হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৭
হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর : ২০৫৩

আমাদের ঠিকানা

এপয়েন্টমেন্ট নিতে ফরমটি পূরণ করুন